আমাদের প্রাত্যহিক এবং সামাজিক জীবনে পুরাণের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রাচীন ঐতিহ্যে পুরাণগুলো ধর্মশাস্ত্রের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত। পৌরাণিক ধর্মমতে সত্য, অহিংসা, ক্ষমা, শান্তি ও ত্যাগ মানুষকে শ্রেষ্ঠতম আসনে প্রতিষ্ঠিত করে। আর এসব গুণকে উপজীব্য করেই নানা গল্প, উপাখ্যানের মাধ্যমে জীবনকে সুন্দর করার উপদেশাবলি রয়েছে পুরাণশাস্ত্রে। সে সমস্ত উপদেশ আমাদের নীতিবোধকে জাগ্রত করে। ধর্মের পথে চলতে সহায়তা করে। সবসময় ঈশ্বরকে স্মরণ করা আমদের কর্তব্য। তাহলে পাপ আমাদের স্পর্শ করতে পারবে না। পুণ্যপথে থাকলে মৃত্যুর পর আমরা স্বর্গের বিষ্ণুলোকে গমন করতে পারব। চিরন্তন বৈদিক আদর্শ, একেশ্বরবাদ, লৌকিক আচারনিষ্ঠা, জাতিভেদের সংস্কার থেকে মুক্তি প্রভৃতি পুরাণে আলোচনা করা হয়েছে। দক্ষযজ্ঞ, অশ্বমেধ যজ্ঞ, মহিষাসুর বধ সহ কত বর্ণাঢ্য জীবনের উত্থান-পতনের কথা যে পুরাণে বর্ণিত রয়েছে তা বলে শেষ করা যায় না। সেসব বীরত্বপূর্ণ কাহিনী আমাদের জীবনকে সুন্দর ও পরিপাটি করে গড়ে তুলতে অনুপ্রেরণা দেয়।
একক কাজ: পুরাণের শিক্ষার মাধ্যমে জীবনকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে কী কী পদক্ষেপ নেবে? |
নতুন শব্দ: চিরন্তন, একেশ্বরবাদ, দক্ষযজ্ঞ, অশ্বমেধ, বর্ণাঢ্য।